বাংলাদেশের বিরিয়ানি: মুঘল রাজদরবারের স্বাদ আপনার রান্নাঘরে বাংলাদেশের খাদ্য সংস্কৃতিতে বিরিয়ানি এক অনন্য ধরনের খাবার যা বিশেষ উপলক্ষ্য এবং উৎসবে বাঙালির খাদ্যতালিকায় অপরিহার্য এক নাম। এই রাজকীয় খাবারটি মুঘল আমল থেকে আমাদের খাদ্য প্রেমে গেঁথে আছে। বিরিয়ানি নিয়ে বাঙালির এত মোহ যে, প্রতিটি অঞ্চলের বিরিয়ানির স্বাদে নিজস্বতা রয়েছে। ঢাকার কাচ্চি, চট্টগ্রামের মেজবানি বা সিলেটের জাফরানি বিরিয়ানি— প্রতিটির মধ্যে নিহিত রয়েছে সেই অঞ্চলের স্বাদ ও ঐতিহ্য। আসুন আজ শিখে নেই বাংলাদেশী বিরিয়ানি রান্নার পদ্ধতি এবং এর জন্য যা যা উপকরণ প্রয়োজন হবে।
উপকরণ
- বাসমতি চাল – ৫০০ গ্রাম
- খাসির মাংস – ১ কিলোগ্রাম
- পেঁয়াজ কুচি – ২ কাপ
- আদা বাটা – ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
- টক দই – ১ কাপ
- গোলাপ জল – ১ টেবিল চামচ
- কেওরা জল – ১ টেবিল চামচ
- জাফরান – এক চিমটি
- ঘি – ১ কাপ
- সরিষার তেল – ১/২ কাপ
- এলাচ – ৬টি
- দারুচিনি – ২টি বড় টুকরা
- লবঙ্গ – ৬টি
- তেজপাতা – ২টি
- জিরা – ১ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- আলু বড় – ৪টি
- বেরেস্তা – পরিমাণমতো
- পুদিনা পাতা – সাজানোর জন্য
- ধনে পাতা – সাজানোর জন্য
- কাঁচা মরিচ – ৮-১০টি
- টমেটো কুচি – ১ কাপ (ঐচ্ছিক)
রান্নার পদ্ধতি
- প্রথমে চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
- মাংসের সঙ্গে দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, লবণ, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে ম্যারিনেট করুন অন্তত এক ঘণ্টা।
- পাত্রে ঘি ও তেল গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করুন।
- একটি বড় পাত্রে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে সেদ্ধ করুন।
- অপর পাত্রে চাল অর্ধেক সেদ্ধ করে নিন।
- মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে তার উপর চালের স্তর দিন।
- গোলাপ জল, কেওরা জল এবং জাফরান মিশিয়ে দিন।
- চালের উপর আলু, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ও বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন।
- ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট।
- বিরিয়ানি তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
বিরিয়ানির আসল স্বাদ পেতে গেলে উপকরণ নির্বাচনে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাজা ও মানসম্পন্ন মাংস, সুগন্ধি বাসমতি চাল এবং ভালো মানের ঘি ব্যবহার করুন। বিরিয়ানির স্বাদ আরও বাড়াতে কেওরা, গোলাপ জল, এবং জাফরানের মতো সুগন্ধি উপাদানগুলো প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। এই রেসিপি অনুসারে রান্না করলে আপনার বিরিয়ানি নিঃসন্দেহে হবে মুখরোচক এবং সকলের প্রশংসা কুড়াবে।